টেলিস্কোপের প্রকারভেদ
Telescope গুলোকে সাধারণত দুইভাগে ভাগ করা যায়-
1. Optical Telescope
2. Non-optical Telescope
Optical Telescope
যেসব Telescope এর মধ্যে mirror বা lens ব্যবহার করা হয় তাদেরকে optical telescope বলে।এরা বহুদূর থেকে শুধুমাত্র visible light কে collect করতে পারে।
Optical telescope দুই ধরনের-
1. Refracting Telescope
2. Reflecting Telescope
এবার আমরা Optical telescope এর দুটি প্রকারভেদ নিয়ে জানবো-
i) Refracting Telescope প্রতিসারক
এই ধরনের telescope গুলোর মধ্যে convex lens বা উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয় যেটা বহুদূর থেকে আসা আলোকে focus করতে পারে। Convex lens হচ্ছে এক ধরনের transparent glass যেটার মাঝের অংশ মোটা এবং দুই প্রান্তের অংশ সরু থাকে
এই ধরনের telescope গুলোতে দুটো convex lens একটা লম্বা টিউবের দুই মাথায় লাগানো থাকে। টিউবের সামনে যেটি লাগানো থাকে তাকে objective lens বলে এবং আলো সেখান দিয়ে টিউবের ভেতরে ঢোকে। দ্বিতীয় convex lens এর আকার ছোট হয় যাকে eyepiece lens বলে এবং এই eyepiece lens, objective lens থেকে একটা নির্দিষ্ট দুরত্বে রাখা হয়ে থেকে।
Objective lens টি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে আলোকে focus করে, এই দুরত্বকে focal length বলে। Objective lens এর আকার যত বড় হয় সেখান দিয়ে বহুদূর থেকে আসা আলো তত বেশি পরিমান ঢোকবে ফলে সেই বস্তুকে সহজেই telescope দিয়ে observe করা যাবে।
যে image টি objective lens ধারণ করে সেটিকে Eyepiece lens বড় করে দেখায়।
ii) Reflecting Telescope প্রতিফলক
Refracting Telescope বা প্রতিসারক টেলিস্কোপের মতো সোজা একটা চোঙের ভিতরের উত্তল-অবতল লেন্সের মধ্যে দিয়ে সামনে তাকানোর বদলে লেন্সের জায়গায় আয়না বসিয়ে উল্টোদিকে বসে সর্বপ্রথম আকাশ পর্যবেক্ষণ করেন স্যার আইজ্যাক নিউটন।
তিনিই প্রথম ১৬৬৮ খ্রিস্টাব্দে গ্যালিলিও থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে অবতল আয়না বসিয়ে দূরবীক্ষণ বানানোর কাজটি করে ইতিহাস সৃষ্টি করে যান। এই পদ্ধতিতে দৃশ্যমান বস্তু আরো স্পষ্ট দেখা যায়। নিউটনের এজাতীয় দূরবীক্ষণকে প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্র (Reflecting Telescope) বলে।
এই telescope এর মধ্যে একটা curved mirror যা আলো collect এবং focus করার জন্য ব্যবহার করা হয়। একটা ছোট জায়গার মধ্যে এই curved mirror টি অনেক বেশি পরিমান আলোকে focus করতে পারে। Mirror যত বড় হয়, telescope এর মধ্যে তত বেশি পরিমান আলো ঢোকতে পারে। বর্তমানে বেশিরভাগ optical telescope গুলো Reflecting telescope.
Catadioptric Telescopes:
এটি মুলত refractors telescope এবং reflectors telescope এই দুইটার সংমিশ্রনে তৈরী।
প্রথম এই ধরনের দূরবীনটি জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী বার্নার্ড শ্মিট দ্বারা ১৯৩০ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এটি টেলিস্কোপের সামনে একটি গ্লাস রিট্রেক্টর প্লেট সহ টেলিস্কোপের পিছনে একটি প্রাথমিক মিরর ব্যবহার করেছিল, যা গোলাকার বিচ্ছিন্নতা অপসারণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। মূল টেলিস্কোপে, ফটোগ্রাফিক ফিল্মটি মূল ফোকাসে স্থাপন করা হয়েছিল। কোন সেকেন্ডের আয়না বা আইপিস ছিল না। ১৯৬০-এর দশকে শ্মিট-ক্যাসসগ্রেন ডিজাইন নামে মূল নকশাটির উন্নতি সংস্করন হল সবচেয়ে জনপ্রিয় ধরনের টেলিস্কোপ। এটির একটি দ্বিতীয় আয়না রয়েছে যা প্রাথমিক মিরর থেকে একটি আইফিস পর্যন্ত একটি গর্তের মধ্য দিয়ে হালকা বাউন্ড করে।
রুশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডি মাকসুতভের ক্যাটেদিয়েট্রিক টেলিস্কোপের দ্বিতীয় শৈলী আবিষ্কার করেছিলেন।
ডাচ জ্যোতির্বিজ্ঞানী, Bouwers, ১৯৪১ সালে একটি Maksutov নকশা তৈরি করেন।) মাকসুতভ টেলিস্কোপ Schmidt তুলনায় আরো গোলাকার সংশোধনকারী লেন্স ব্যবহার করা হয়। অন্যথায়, নকশা বেশ অনুরূপ। আজকের মডেলগুলি মাকসুতভ-ক্যাশগ্রেন নামে পরিচিত।
Refracting Telescope (প্রতিসরণ টেলিস্কোপ) এবংReflecting telescope.(প্রতিফলিত টেলিস্কোপ) মধ্যে পার্থক্য
একটি প্রতিসরণকারী টেলিস্কোপ এবং একটি প্রতিফলিত টেলিস্কোপের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
প্রতিসরণকারী টেলিস্কোপ প্রতিফলিত টেলিস্কোপ
এটি একটি অপটিক্যাল টেলিস্কোপ যাতে একটি লেন্স সংযুক্ত করে ছবি তৈরি করা হয়। এই লেন্সকে বলা হয় অবজেক্টিভ লেন্স। এই টেলিস্কোপটি বাঁকা আয়নার সংমিশ্রণ নিয়ে গঠিত যা আলোর রশ্মি প্রতিফলিত করে এবং একটি চিত্র তৈরি করে।
এতে ব্যাস ছোট, যার আলো সংগ্রহের ক্ষমতা কম। এটিতে একটি বড় আয়না রয়েছে যার আলো সংগ্রহ করার উচ্চ ক্ষমতা রয়েছে।
এটি ওজনে হালকা এবং সহজেই যেকোনো জায়গায় বহন করা যায়। এটি ভারী এবং পুরু।
ফটোগ্রাফিতে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়। এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানে বেশি ব্যবহৃত হয়।
এটি একটি বন্ধ নল যা এটিকে ধুলো এবং আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করে। এটি একটি খোলা নল যার কারণে ধুলো, মাটি, আর্দ্রতা ইত্যাদি সমস্যা হয়।
এতে বর্ণবিকৃতির সমস্যা রয়েছে। এতে বর্ণবিকৃতির কোনো সমস্যা নেই।
Non-optical Telescope
যেসব telescope বহুদূর থেকে আসা বিভিন্ন electromagnetic radiation কে collect করতে পারে তাদেরকে Non-optical telescope বলে। কয়েক ধরনের Non-optical telescope রয়েছে নিচে এ দের নিয়ে আ লোচনা করা হলো, এর মধ্যে Radio telescope অন্যতম।
Radio Telescope
যেসব telescope গুলো মহাকাশের বিভিন্ন object থেকে বের হওয়া radio wave কে detect করতে পারে তাদেরকে radio telescope বলে। বেশিরভাগ radio telescope গুলোর একটা curved এবং reflecting surface থাকে, যার ব্যাস 305 m পর্যন্ত হয়। এই surface টি মহাকাশ থেকে আসা radiowave কে collect এবং focus করে। তবে Radio telescope এর সাইজ যত বড় হয়, সেটি তত বেশি radio wave কে collect এবং focus করতে পারে।
Other Non Optical Telescope
আ রো কিছু telescope আছে যারা infrared radiation কে detect করতে পারে। IR এর wave length আমাদের চোখে দেখা visible light এর wave length থেকে বড়,কিন্তু radio wave থেকে ছোট। আরো কিছু ধরনের টেলিস্কোপ রয়েছে যারা ছোট ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের রেডিয়েশন গুলোকে detect করতে পারে যেমন X-ray, ultraviolet radiation, gamma ray ইত্যাদি।
নিচে একটা ক্র্যাব নেবুলার ভিন্ন ভিন্ন electromagnetic radiation এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন visual ছবি দেখানো হলো। এই ছবি গুলো telescope এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে-
Advanced Telescope
বর্তমানে বেশিরভাগ telescope গুলো বিভিন্ন কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে যুক্ত থাকে যাতে সেসব টেলিস্কোপে ধরা পড়া space object গুলোকে আরো স্পষ্ট দেখা যায়। Telescope যখন সামান্য নড়াচড়া করে তখন telescope থেকে পাওয়া ছবিগুলো অনেকাংশে ঝাপসা হয়ে যায়। তাই সেসব ছবিকে সংশোধন করার জন্য কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়। কিছু টেলিস্কোপে লেজার ব্যবহার করা হয় পৃথিবীর বাইরের পরিবেশকে monitoring করার জন্য। একারণে টেলিস্কোপের সাথে যুক্ত থাকা mirror এর আকারও পরিবর্তন হয়ে যায় যদি পৃথিবীর বাইরের atmosphere সামান্য পরিমাণ চেইঞ্জ হয়।
ধরন: -
এক্স-রে টেলিস্কোপ X ray Telescope: অতিবেগুনি রশ্মির থেকে সংক্ষিপ্ত তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করে।
আল্ট্রাভায়োলেট টেলিস্কোপ Ultraviolate Telescope: দৃশ্যমান আলোর চেয়ে কম তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহৃত হয়।
অপটিক্যাল টেলিস্কোপ Optical Telescope: দৃশ্যমান আলো ব্যবহার করে থাকে।
ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ Inftaed Telescope: দৃশ্যমান আলোর চেয়ে দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করে থাকে।
সাবমিলিমেট্রো টেলিস্কোপ: মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গদৈর্ঘ্যগুলো ব্যবহার করে যেগুলো ইনফ্রারেড আলোর চেয়েও দীর্ঘ।
রেডিও টেলিস্কোপ Radio Telescope: যা আরও দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করে।
এছাড়াও আরও ২ ধরনের টেলিস্কোপ রয়েছে। সেগুলো হলো:
একনলা দুরবিন: মহাকাশ দেখার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
হাবল টেলিস্কোপ - Hubble Telescope
জার্মান বিজ্ঞানী হারমান ওবার্থ (Hermann Oberth), ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম, মহাকাশে একটা রকেট দিয়ে টেলিস্কোপ প্রেরণের প্রস্তাব করেন । এরই ধারাবাহিকতায় নাসার বিজ্ঞানীরা একটা বিশাল স্কুল বাসের সমান টেলিস্কোপ বানালেন, যার নাম ছিলো হাবল স্পেস টেলিস্কোপ, সংক্ষেপে HST. তাঁদের উদ্দেশ্য ছিলো পৃথিবীর বায়ুমন্ডল পেরিয়ে মহাকাশে এই টেলিস্কোপটাকে স্থাপন করা।
হাবল টেলিস্কোপের নামকরণ করা হয় বিজ্ঞানী এ্যাডউইন পি. হাব্ল-এর (১৮৮৯-১৯৫৩) নামানুসারে। তিনিই প্রথম মহাজাগতিক বস্তুসমূহের blue shift এবং red shift দেখিয়ে প্রমাণ করেন যে, এই মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল এবং প্রতিটি গ্যালাক্সি একটা আরেকটা থেকে ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছে। এই প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই পরে মহাবিষ্ফোরণ তত্ত্বের সূচনা হয়।
১৯৯০ সালে একটা রকেটে করে হাবলের টেলিস্কোপটা বায়ুমন্ডলের বাইরে পাঠানো হয়। হাবল টেলিস্কোপ স্থাপনের জায়গাটা বায়ুমণ্ডলের বাইরে হলেও সেটা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের আয়ত্বের ভিতরে একটা নিরাপদ অঞ্চলে রয়েছে, যার উচ্চতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৯৬ কিলোমিটার উঁচু। সেখানে যেহেতু বাতাস নেই, তাই সেটির সাথে কোনো কিছু ঘর্ষণের চান্স নেই। তাই পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরে, কিন্তু মাধ্যাকর্ষণের আয়ত্বের ভিতরে শূণ্যে ভেসে থাকে টেলিস্কোপটি। এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় পৃথিবী থেকে।
হাবল একটা প্রতিফলন টেলিস্কোপ (Reflecting Telescope), আয়নার প্রতিফলনে সে দূরবর্তি বস্তুর তথ্য নিতে পারে। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের জুলাইতে এতে জোড়া হয় চন্দ্র এক্স-রে টেলিস্কোপ। চন্দ্র এর ক্ষমতা এতটাই ছিলো যে,দেড় মাইল দূর থেকে ওটা দিয়ে দেড় ইঞ্চির কোনো লেখা পড়া যেতো!
হাবল টেলিস্কোপ যেহেতু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের বাইরে বসানো হয়নি, তাই এটি ঠিক চাঁদের মতোই পৃথিবী যেদিকে যায় (বার্ষিক গতি), পৃথিবীর সাথে সাথে সেদিকে যায়। তবে যেতে যেতে পৃথিবীকে চক্কর খায় বা পাক খায় (আহ্নিক গতি), যাতে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টানে ভূমিতে পড়ে না গিয়ে নিজের অবস্থানে টিকে থাকতে পারে। প্রতি ৯৭ মিনিটে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ঘন্টায় ২৮,০০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীকে একবার ঘুরে আসে। এর যাবতীয় শক্তির প্রয়োজন সে সূর্যের আলো থেকে মেটায়। সৌরবিদ্যুৎ বানানোর জন্য এর মধ্যে ২৫ ফুট লম্বা দুটো সৌরপ্যানেল রয়েছে। বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয়ের জন্য রয়েছে ৬টি নিকেল-হাইড্রোজেন ব্যাটারি, যেগুলো একত্রে ২০টা গাড়ির বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে পারে!
হাবল টেলিস্কোপ আল্ট্রাভায়োলেট থেকে ইনফ্রারেড পর্যন্ত (১১৫-২৫০০ ন্যানোমিটারে) আলোর সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দেখতে সক্ষম। এই বিশাল ক্ষমতা নিয়ে হাবল যা পর্যবেক্ষণ করে তার প্রেক্ষিতে প্রতি সপ্তাহে ১২০ গিগাবাইট তথ্য সে পৃথিবীতে পাঠায়। এতো এতো তথ্য সংরক্ষণে এই টেলিস্কোপে ম্যাগনেটো-অপটিক্যাল ডিস্ক ব্যবহৃত হয়।
নিচে হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা মহাকাশের একটা নেবুলার ছবি দেখানো হলো-
হাবল টেলিস্কোপ তার তোলা প্রথম ছবি পাঠায় ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ২০ মে, সেটা ছিল স্টার ক্লাস্টার NGC 3532’র একটা দৃশ্য। এখন পর্যন্ত এই টেলিস্কোপ লক্ষাধিক ছবি পাঠিয়েছে পৃথিবীতে। আর সেসব ছবি বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে মহাবিশ্বের বয়স, জানা গেছে ডার্ক এনার্জি বা কৃষ্ণশক্তি সম্বন্ধে। হাবলের চোখ দিয়ে বিজ্ঞানীরা একেকটা গ্যালাক্সির বিভিন্ন অবস্থা সম্বন্ধে জেনেছেন। হাবল টেলিস্কোপই প্রথম আবিষ্কার করে মহা শক্তিশালী গামা রে বার্স্ট বা গামারশ্মির বিষ্ফোরণ। এছাড়া এটি মহাকাশে গ্যাসের কিছু কুন্ডলি এমনভাবে আবিষ্কার করেছে, যেন তারা কিছু একটার ফাঁদে আটকা পড়েছে, যেটি ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। এটি বৃহস্পতি’র উপগ্রহ ইউরোপার বাতাসে অক্সিজেনের উপস্থিতি সনাক্ত করেছে। এডউইন হাবল প্রমাণিত সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের মাত্রা আবিষ্কার করেছে হাবল টেলিস্কোপ।
এই টেলিস্কোপটি নাসা পাঠালেও পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো বিজ্ঞানী হাবলকে ব্যবহারের অনুমতি চাইতে পারেন। অভিজ্ঞদের একটা প্যানেল তখন সেখান থেকে যোগ্যতম লোক বাছাই করে সেদিকে হাবলকে ঘুরিয়ে সেখানকার ছবি তুলে পাঠান সেই বিজ্ঞানীকে বা সেই বিজ্ঞান মহলকে। প্রতিবছর এরকম বহু আবেদন জমা পড়ে, তবে সেখান থেকে বছরে প্রায় ১,০০০ আবেদন যাচাই করে মাত্র ২০০ আবেদন মঞ্জুর করা হয়, আর সেই আবেদন অনুযায়ী কাজ করতে হাবলকে মোটামুটি ২০,০০০ একক পর্যবেক্ষণ করতে হয়।
নিষ্ক্রমণকারী Space Shuttle Atlantis থেকে দৃশ্যমান হাবল মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র
General information
NSSDC ID
১৯৯০-০৩৭বি
সংস্থা নাসা / ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা / মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
উৎক্ষেপণ তারিখ ২৪শে এপ্রিল, ১৯৯০, সকাল ৮:৩৩:৫১ পূদিস
উৎক্ষেপণ বাহন Space Shuttle Discovery (STS-31)
মিশনের আয়ুষ্কাল ৩১ বছর, ৮ মাস ও ২৭ দিন অতিক্রান্ত
Deorbited due ~2013–2021
ভর ১১,১১০ কেজি (২৪,৪৯০ পা)
দৈর্ঘ্য ১৩.২ মি (৪৩ ফু)
কক্ষপথের ধরণ প্রায়-বৃত্তাকার নিম্ন ভূ-কক্ষপথ
কক্ষপথের উচ্চতা ৫৫৯ কিমি (৩৪৭ মা)
কক্ষপথের পর্যায়কাল ৯৬–৯৭ মিনিট (দৈনিক ১৪-১৫টি আবর্তন)
কক্ষপথের বেগ ৭,৫০০ মি/সে (২৫,০০০ ফুট/সে)
মাধ্যাকর্ষণগত বেগ ৮.১৬৯ মি/সে২ (২৬.৮০ ফুট/সে২)
অবস্থান নিম্ন ভূ-কক্ষপথ
টেলিস্কোপের ধরণ রিচি-ক্রেতিয়াঁপ্রতিফলক
তরঙ্গদৈর্ঘ্য
দৃশ্যমান আলো, অতিবেগুনি, প্রায়-অবলোহিত
ব্যাস ২.৪ মি (৭ ফু ১০ ইঞ্চি)
Collecting area ৪.৫ মি২ (৪৮ ফু২)
অধিশ্রয়ণ দৈর্ঘ্য
৫৭.৬ মি (১৮৯ ফু)
যন্ত্রসমূহ
NICMOS
infrared camera/spectrometer
ACS
optical survey camera
(partially failed)
WFC3
wide field optical camera
COS
ultraviolet spectrograph
STIS
optical spectrometer/camera
সূক্ষ্ম নির্দেশনা সুবেদী গ্রাহক
three fine guidance sensors
ওয়েবসাইট hubble.nasa.gov
hubblesite.org
spacetelescope.org
হাবলের দেখভাল আর ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে নাসা’র গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার, আর স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইন্সটিটিউট (STScl)।
Very Large Telescope
ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ (ভিএলটি) হল একটি টেলিস্কোপ সুবিধা যা উত্তর চিলির আতাকামা মরুভূমিতে সেরো প্যারানালের ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরি দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি চারটি পৃথক টেলিস্কোপ নিয়ে গঠিত, প্রতিটিতে একটি প্রাথমিক আয়না ৮.২ মিটার জুড়ে রয়েছে,যা সাধারণত আলাদাভাবে ব্যবহার করা হয় তবে খুব উচ্চ কৌণিক রেজোলিউশন অর্জনের জন্য একসাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। চারটি পৃথক অপটিক্যাল টেলিস্কোপ অন্তু, কুয়েন, মেলিপাল এবং ইয়েপুন নামে পরিচিত,যেগুলো মাপুচে ভাষায় জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত বস্তুর জন্য শব্দ। টেলিস্কোপগুলি ১.৮ মিটার অ্যাপারচারের চারটি চলমান অক্সিলিয়ারি টেলিস্কোপ (ATs) দ্বারা পরিপূরক একটি অ্যারে তৈরি করে।
Very Large Telescope
The four Unit Telescopes that form the VLT together with the four Auxiliary Telescopes
Alternative names VLT
Part of Paranal Observatory
Location(s) Antofagasta Region, Chile
Coordinates 24°37′38″S 70°24′15″W / 24.62733°S 70.40417°WCoordinates: 24°37′38″S 70°24′15″W / 24.62733°S 70.40417°W
Organization European Southern Observatory
Altitude 2,635 m (8,645 ft)
Observing time 340 nights per year
Wavelength
300 nm – 20 μm (N-UV, visible light, NIR, SWIR, MWIR, and LWIR)
First light
1998 (for the first Unit Telescope)
Telescope style astronomical observatory
Diameter • 4 x 8.2-metre Unit Telescopes (UT)
• 4 x 1.8-metre moveable Auxiliary Telescopes (AT)
Angular resolution
0.002 arcsecond
Focal length
120 m (393 ft 8 in)
Website www.eso.org/vlt
ভিএলটি দৃশ্যমান এবং ইনফ্রারেড তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কাজ করে। প্রতিটি পৃথক টেলিস্কোপ খালি চোখে শনাক্ত করার চেয়ে প্রায় চার বিলিয়ন গুণ বেশি ক্ষীণ বস্তু শনাক্ত করতে পারে এবং যখন সমস্ত টেলিস্কোপ একত্রিত হয় তখন সুবিধাটি প্রায় ০.০০২ আর্ক-সেকেন্ডের কৌণিক রেজোলিউশন অর্জন করতে পারে। একক টেলিস্কোপ মোডে অপারেশন কৌণিক রেজোলিউশন প্রায় ০.০৫ আর্ক-সেকেন্ড।
ভিএলটি হল জ্যোতির্বিদ্যার জন্য সবচেয়ে উৎপাদনশীল স্থল-ভিত্তিক সুবিধা,শুধুমাত্র হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দৃশ্যমান তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কাজ করা সুবিধাগুলির মধ্যে আরও বৈজ্ঞানিক কাগজপত্র তৈরি করে। ভিএলটি ব্যবহার করে সম্পাদিত অগ্রণী পর্যবেক্ষণগুলির মধ্যে একটি এক্সোপ্ল্যানেটের প্রথম প্রত্যক্ষ চিত্র, মিল্কিওয়ের কেন্দ্রে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো পৃথক নক্ষত্রের ট্র্যাকিং এবং সবচেয়ে দূরবর্তী গামা-রে বিস্ফোরণের পরের আলোর পর্যবেক্ষণ।
James Webb Space Telescope-
মানবসভ্যতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, বিজ্ঞানের বিস্ময় এই দূরবীক্ষণটি সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক কিছু কথা।
কিংবদন্তী মহাকাশ দূরবীন 'হাবল' এর উত্তরসূরি হিসেবে তৈরি হয়েছে 'জেমস ওয়েব'। ১৯৯৬ সালে দূরবীনটির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির বিকাশ ও দূরবীনটি তৈরির কাজ শুরু হয়। এই প্রজেক্টে হাত মিলিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আমেরিকা ও ইউরোপের মোট ২০ টি দেশ। নির্মাণের দায়িত্ব নরথ্রপ গ্রুমান ও বল এরোস্পেস কোম্পানির।
২০১৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী প্রজেক্টটিতে খরচ হয়ে গেছে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২১ এর শেষদিকে একে মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
উদ্দেশ্যঃ
দৃশ্যমান ও অবলোহিত আলো বিকিরণকারী মহাজাগতিক বস্তুসমূহ পর্যবেক্ষণ। ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদিম অবস্থা থেকে শুরু করে নীহারিকার অভ্যন্তরে নতুন নক্ষত্রের জন্মপ্রক্রিয়া এমনকি বহুদূরবর্তী ভীনগ্রহের বায়ুমণ্ডলের উপাদান বিশ্লেষণ (যা থেকে বহির্জাগতিক প্রাণের খোঁজ মেলারও আশা রয়েছে)- এইসবকিছুতেই অত্যন্ত দক্ষ হবে জেমস ওয়েব।
প্রযুক্তিঃ
কী আশ্চর্য পর্যায়ের প্রযুক্তি এই দূরবীনে ব্যবহার হচ্ছে তা লিখে শেষ করাই কঠিন। আমি অতি সংক্ষেপে অতি সরলীকৃতভাবে কিছু বলছি।
১) সৌর আচ্ছাদনঃ সূর্যের আলো ও তাপ থেকে বাঁচার জন্য ওয়েবের রয়েছে ৫ টি সৌর আচ্ছাদন স্তর যার একেকটি মানুষের চুলের সমান পুরু। এটাকে ১২ বার ভাঁজ করে রাখা আছে (নাহলে রকেটে আঁটবে না) যাকে মহাকাশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খোলার ব্যবস্থাও রয়েছে। এই ভাঁজ করা বা খোলার প্রযুক্তি অত্যন্ত জটিল।
২) আয়নাঃ ওয়েবের আয়না হাবলের থেকে আকারে অনেক বড়। ব্যাস ৬.৫ মিটার। এটিকেও মুক্ত অবস্থায় রাখলে রকেটে আঁটবে না। তাই এটি আসলে ১৮ টি ষড়ভুজ অংশকে যুক্ত করে তৈরি যাদের সূক্ষ্ম মোটরের সাহায্যে ভাঁজ করা বা খোলা যায়।
একটি মিরর সেগমেন্টঃ
রঙটা সোনালী কেন বলুন তো? হ্যাঁ, ওটা আসলেই একটা সোনার স্তর।
এর ১৮ টি ষড়ভুজকে রোবটিক্সের সাহায্যে জোড়া হয়েছে।
গোটা দূরবীনকে কতখানি সূক্ষ্ম হতে হবে সেটা বলতে গেলে আলাদা একটা ডকুমেন্টারি চাই। প্রজেক্টটি কতটা শক্ত সেটা বোঝাতে শুধু এটুকু বললেই হয়ঃ হাবলের উৎক্ষেপণের পরেই দেখা গেছিল তার সিঙ্গল মিররে অতিসূক্ষ্ম একটা সমস্যার কারণে ছবি অপরিস্কার আসছে। তার জন্য নাসা-কে একটা ঐতিহাসিক মানব অভিযান চালাতে হয় মহাকাশেই সেটাকে সারাই করার জন্য! এবারে ওয়েবের কথা ভাবুনঃ এরকম অস্বাভাবিক জটিল যন্ত্রটিকে মহাকাশে এতটা দূরত্বে পাঠানো হবে যে সেখানে গিয়ে সারাইয়ের কোন সুযোগ নেই। একটা ক্ষুদ্রতম গণ্ডগোল মানেই ২০ টি দেশের হাজার হাজার বিজ্ঞানীর ২৫ বছরের পরিশ্রম আর ১০০০ কোটি ডলার এক নিমেষে পণ্ড!
মিররের টেস্টিং চলছে
সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় ওয়েবের মিরর
মহাকাশে অবস্থানঃ সূর্য-পৃথিবী L2 point এর কাছে।
উৎক্ষেপণ ও স্থাপনের পরিকল্পনাঃ
সবশেষে দুটি সুন্দর ভিডিও রইল এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় এবং কীভাবে উৎক্ষেপণের পর একে স্থাপন ও চালু করা হবেঃ (জটিলতাটা খুব ভালভাবে অনুভব করা যাবে এটা থেকে যেটা এই উত্তরে প্রায় কিছুই বোঝাতে পারিনি)
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ মূলত ইনফ্রারেড রশ্মি ডিটেক্ট করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হইছে।এই মহাবিশ্বের যত দূরে দৃষ্টি রাখা সম্ভব হবে আমরা ততই মহাবিশ্বের অতীতকে দেখতে পাবো।১৩ বিলিয়ন লাইট ইয়ার দূরের কোনো ডিস্ট্যান্ট গ্যালাক্সি থেকে আশা আলো আমাদেরকে ১৩ বিলিয়ন বছর আগের গ্যালাক্সি সম্পর্কে ধারনা দিবে।
ইনফ্রারেড রশ্মি ডিটেক্ট করার কারন, বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করছেন, এই মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে এবং দূরের গ্যালাক্সি গুলো প্রতিনিয়ত আমাদের থেকে আরো দূরে সরে যাচ্ছে। ওই দূরবর্তী গ্যালাক্সি থেকে আসা আলোও ভিজিবল ওয়েব লেনথ থেকে রেড শিফটিং এর কারনে (আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাওয়া) ইনফ্রারেড এ রূপান্তরিত হয়ে আমাদের কাছে পৌছাচ্ছে।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এর সবচেয়ে বড় দুইটা অংশের একটা ছয় মিটার ব্যাসের হলুদ প্লেট যা দূরবর্তী গ্যালাক্সি থেকে আসা ইনফ্রারেড রশ্মি ক্যাপ্চার করবে।আরেকটা হচ্ছে প্রায় টেনিস কোর্টের সাইজের ৫ স্তরের হিট শিল্ড যা সূর্য এবং পৃথিবীর দিক বরাবর বিস্তৃত করে রাখা হবে যাতে করে সূর্য, পৃথিবী ও চাদ থেকে আগত তাপ মেইন টেলিস্কোপের অংশে পৌঁছাতে না পারে, কারন, দূরবর্তী গ্যালাক্সি থেকে আসা, খুবই দূর্বল হিট সিগনাল ক্যাপচার কারার জন্যে টেলিস্কোপ ইনস্ট্রুমেন্ট এর তাপমাত্রা প্রায় মাইনাস ২৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ রাখতে হবে! মানে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের একপাশে পানি সিদ্ধ হয়ে যাবে আর ঠিক অপর পাশে বাতাসও ফ্রিজ হয়ে যাবে।
প্রায় টেনিস কোর্টের মতন বড় হিট শিল্ড কোনোভাবেই একটা রকেটের ভিতর দিয়ে পাঠানো সম্ভব না তাই পৃথিবীকে গোল বলা ধুরন্ধর নাশার বিজ্ঞানীরা কাগজ ভাজ করার খুবই প্রাচীন জাপানিজ টেকনিক অরিগ্যামিরর সাহায্য নিয়েছে এবং এই বড় হিট শিল্ড আর টেলিস্কোপের অংশকে ভাজ করে মহাকাশে পাঠায় দিচ্ছে।জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ল্যাগরেন্জ পয়েন্ট ২ তে পৌছানোর পর প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তার এই ভাজ করা হিটশিল্ড খুলবে।এই প্রক্রিয়ায় প্রায় তিনশটারও বেশী ফ্যাক্টর আছে যার কারনে পুরো মিশনই ফেইলড হয়ে যেতে পারে!২০১৮ তে ফইনাল টেস্টিং এর সময় এরকম দূর্ঘটনা ঘটে যার কারনে মিশন শিডিউল প্রায় দুই বছর পিছিয়ে যায়।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এখন ল্যাগরেন্জ পয়েন্ট ২ এর জন্য যাত্রা করতেছে।যেহেতু তার শুধু একদিকেই থ্রাস্টার আছে তাই কোনো কারনে ওভার থ্রাস্টিং হয়ে গেলে সে আর ল্যাগরেন্জ পয়েন্ট ২ তে নিজের স্পিড কমাতে পারবে না আর এই ভয়ংকর শূন্য মহাবিশ্বে চিরতরের জন্যে হারিয়ে যাবে!
অরিগ্যামি নিয়ে নাসায় আরো অনেক প্রজেক্ট এর কাজ শুরু করা হচ্ছে।আমরা যখন খুব তীব্র আলোর সামনে কোনো ছবি তুলি যেমন কড়কড়া সূর্য আলোর দিকে মুখ করে একটা চড়ুই পাখি , তখন পুরো ছবিটাতেই তীব্র আলো বাদে অন্য কিছুর ডিটেইলস পাওয়া যায় না।বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান প্রশ্ন আমরা এই অতল অন্ধকারে কি একা নাকি আমাদের আরো ভাই ব্রাদার আছে।লাইফ সাসটেইনেবল প্ল্যানেট পর্যবেক্ষন করতে গেলে ওই গ্রহ যে নক্ষত্রের চারপাশ দিয়ে ঘুরতেছে সেই নক্ষত্রের তীব্র আলোর কারনে গ্রহের স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায় না।তাই মহাকাশে পাঠানো টেলিস্কোপের সামনে ছাতা ধরে রাখার জন্য অরিগ্যামি স্ট্রাকচার তৈরি করা হচ্ছে যা ওই টেলিস্কোপের সামনে থেকে নক্ষত্র থেকে আসা আলো ব্লক করবে আর আমরা আমাদের ভাই ব্রাদারদের খুজে পাবো!